স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশালসহ বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঅঞ্চলের ক্ষুদ্ব চাষীদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্পের আওতায় জেলা ও উপজেলা প্রর্যায়ের ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের রিভিয় ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় নগরীর বগুড়ারোডস্থ বরিশাল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর (খামারবড়ি) সভাকক্ষে এক ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামারবাড়ি উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হরিপদ শিকারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারনের অতিরিক্ত পরিচালক ওমর আলি শেখ।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ড. সফিকুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া (পিএসও). বরিশাল, যুগ্ম পরিচালক ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ গবেষনা ইনস্টিটিউট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাড. মোহাম্মদ হোসেন, বরিশাল জেলা প্রশিক্ষন অফিসার মো. ফজলুল হক, মোঃ আলী জিন্নাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন বানারীপাড়া কৃষি অফিসার মোঃ অলিউল ইসলাম। দিনব্যাপি কৃষি অফিসার ও কৃষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কসপে কৃষক ও কৃষি অফিসাররা আলোচনা বলেন ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্পের ইতিমধ্যে ৪বছর পার হয়ে গেছে প্রকল্প থেকে কৃষকদের মাঝে যে ধরনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে তা অপ্রতুল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র চাষিদের নিয়ে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে বিশমুক্ত সবজি ও উচ্চ সবজি উৎপাদন, দানা শষ্য উৎপাদন ও ফল আবাদ করার জন্য কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে। এসময় কৃষি অফিসাররা আরো বলেন কৃষকদের ভালো ফলাফল আশা করার লক্ষে তাদেরকে আরো বেশী করে প্রশিক্ষন দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে মানসম্মত ফলাফল আশা করা যাবে। ইতিমধ্যে সরকার ৭০ পার্সেন্ট ভূর্তকি দিয়ে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। গত চার বছরে বিভিন্ন উপজেলার কৃষি অফিসাররা ফল উৎপাদনকারী, সবজি উৎপাদনকারী ও দানা শষ্য উৎপাদনকারী কৃষকদের প্রশিক্ষন দেয়াসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন করার মাধ্যমে উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রকল্প থেকে দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের নয় জেলা পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র কৃষকদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্বচ্ছল করা হয়েছে বলে প্রকল্প কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম এ তথ্য তুলে ধরেন কৃষি অফিসারদের মাঝে।
Leave a Reply